আনসার আহমেদ উল্লাহ । ম্যানেজারিয়েল এডিটর, দ্য লন্ডন টাইমস। প্রধান অতিথি যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে বাংলাদেশের মানননীয় হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম ব্রিটেনে ১৯৭১ সালে প্রবাসী বাঙালি ভাই ও বোনদের ত্যাগ ও বাংলাদেশের আন্দোলনের তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।এবং একই সাথে তিনি বলেন যে প্রবাসী মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের স্বীকৃতি দেয়ার লক্ষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু তাঁদেরকে বীর মুক্তিযোদ্ধা না অন্য নামে অভিহিত করা হবে তার সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। মান্যবর হাই কমিশনার বলেন যে প্রায় তিনশত বিলেত প্রবাসী সংগঠকের আবেদনপত্র জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে – জামুকাতে বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়েছে।
মাননীয় রাষ্ট্রদূত কথা বলছিলেন গত ৮ই জানুয়ারী ‘ঐতিহাসিক ৮ জানুয়ারী’অর্থ্যাৎ ১৯৭২ বঙ্গবন্ধুর মুক্তি পাওয়ার পর লন্ডনে আসার তারিখে বাংলাদেশের স্বর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যুক্তরাজ্য শাখা আয়োজিত এক ওয়েবিনার অনুষ্টানে।বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর লন্ডনেই প্রথম আসেন। কারণ বাংলাদেশের পর সবচেয়ে বেশি বাঙালির বসবাস তখন ব্রিটেনে। ব্রিটেন প্রবাসীদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ছিল আত্মিক যোগাযোগ সেই ১৯৫৬ সাল থেকেই তিনি যখন প্রথম বিলেতে এসেছিলেন। তাই তিনি বেছে নিয়েছিলেন লন্ডনকে।
যুক্তরাজ্যে মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাঁথা নিয়ে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যুক্তরাজ্য শাখার ‘তৃতীয় বাংলায় মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক অনলাইন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্য নির্মূল কমিটির কার্যকরী সভাপতি সৈয়দ এনামুল ইসলাম।
অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি শহীদজায়া শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী সবাইকে সুখী সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার আহবান জানান।
ক্লারিজেস হোটেল থেকে সরাসরি যুক্তরাজ্য নির্মূল কমিটির প্রচার সম্পাদক আসম মাসুম বঙ্গবন্ধুর লন্ডনে আগমন, হোটেল আসা এবং সেখান থেকেই বিশ্ববাসীর প্রতি তার প্রথম প্রেস কনফারেন্সর তথ্যগুলি তুলে ধরেন।বক্তব্য রাখেন বিলেতে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম শীর্ষ সংগঠক হাবিব রহমান, মাহমুদ এ রউফ, যুক্তরাজ্য নির্মূল কমিটির সহ সভাপতি নিলুফা ইয়াসমিন হাসান ও বিলেতে মুক্তিযুদ্ধের গবেষক ফারুক আহমেদ।
চলচ্চিত্রকার মকবুল চৌধুরী বিলেতে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তাঁর প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘নট এ পেনি, নট এ গান’ এর অংশবিশেষ দেখান ও এর পটভুমি বর্ণনা করেন।
অনুষ্টানে কবি শামসুর রাহমানের ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতা আবৃত্তি এবং শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরীন চৌধুরীর একাত্তরের স্মৃতিকথা থেকে পাঠ করেন প্রথিতযশা বাচিক শিল্পী মুনিরা পারভীন।
সাইপ্রাস মেইল ও জেরুজালেম পোস্ট। করোনার নতুন ধরন ‘ডেল্টাক্রন’ শনাক্ত
কবি নির্মলেন্দু গুণের ‘স্বাধীনতা এই শব্দটি কিভাবে আমাদের হলো’ কবিতা আবৃত্তি করেন বিলেতের আরেকজন শীর্ষ আবৃত্তিকার শাহাব আহমেদ বাচ্চু।বিলেতে নতুন প্রজন্মের সঙ্গীতশিল্পী নাফিস জয় মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে গেয়ে শোনান কালজয়ী দেশত্ববোধক গান ‘যে মাটির বুকে ঘুমিয়ে আছে লক্ষ মুক্তি সেনা.. ‘। ১৯৭১ সালে বিলেতে প্রবাসী নারীদের উজ্জ্বল ভুমিকা বর্ননা করে ও অনুষ্ঠানের সকল অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও যুক্তরাজ্য নির্মূল কমিটির সহ সভাপতি নিলুফা ইয়াসমিন হাসান।