মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে। অং সান সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) বেসামরিক সরকার উৎখাত করে দেশটির ক্ষমতা দখল করেছে সেনাবাহিনী।
প্রতিবেশী মিয়ানমারের সবশেষ এই ঘটনাবলির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা মিয়ানমারের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি।’
এ কে আব্দুল মোমেন জানান, মিয়ানমারের সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ বিবৃতি দেবে।
মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতাসীন এনএলডির নেত্রী অং সান সু চিসহ তাঁর দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের আজ ভোরে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। তারা মিয়ানমারে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। একজন জেনারেলকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ নিন্দা জানিয়েছে। নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘও।
মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের শিকার হয়ে বছর কয়েক আগে লাখো রোহিঙ্গা বাংলাদেশ আশ্রয় নেয়। এই রোহিঙ্গা নিজ দেশে প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের বেসামরিক সরকারের সঙ্গে দেনদরবার করে আসছিল বাংলাদেশ। এখনে দেশটিতে ফের সামরিক জান্তা ক্ষমতা দখলে নিল।