রোববার রাত ১১টায় প্রথম আলোকে ১৪৪ ধারার বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম খান। তিনি বলেছেন, এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল হক মীর পৌর এলাকায় মাইকিং শুরু করেছেন। এ সময় সব ধরনের সভা–সমাবেশ ও চারজনের অধিক জমায়েত নিষিদ্ধ থাকবে।
এদিকে প্রশাসনের ১৪৪ ধারা জারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন কাদের মির্জা। রোববার রাতে এই ঘোষণা আসার পরে তিনি এ নিয়ে ফেসবুকে লাইভ করেন। ওই লাইভে তিনি অভিযোগ করেন, ইউএনও তাঁর (কাদের মির্জা) নির্ধারিত শোকসভা, প্রতিবাদ সভা ও মিলাদ-মাহফিল বানচালের উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রমূলক এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি তাঁর নেতা-কর্মীদের যাঁর যাঁর অবস্থানে সতর্ক থাকতে বলেছেন।
গত শুক্রবার কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমানের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনার ভিডিও চিত্র ধারণের সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের নোয়াখালী প্রতিনিধি বুরহান। পরে শনিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান। এই ঘটনার পর থেকে উভয় পক্ষই বুরহানকে নিজেদের লোক বলে দাবি করে আসছে।