আইসিসির এই সিদ্ধান্ত আসার পরপরই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ। ইসরায়েল আইসিসির সদস্য নয়। দেশটির সরকার বলেছে, ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে আইসিসির এখতিয়ারের বিষয়টি তারা স্বীকার করে না। তবে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক এই আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।
যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, এর আগে ফাতু বেনসুদা ইসরায়েলের অপরাধ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে, তা বিশ্বাস করার মতো বেশ কিছু কারণ রয়েছে।
আইসিসির বিচারকেরা শুক্রবার বলেন, ফিলিস্তিন এই আদালতের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। এ ছাড়া এই ভূখণ্ডের কর্তৃপক্ষ সেখানকার পরিস্থিতি আদালতের কাছে তুলে ধরেছে। এসবের ভিত্তিতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বিচারকেরা এ-ও বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র কি না, তা নির্ধারণের জন্য এই আদেশ নয়। বিচারকেরা আরও বলেন, আদালতের এই এখতিয়ার ১৯৬৭ সালের পর ফিলিস্তিনের যেসব এলাকা ইসরায়েল দখল করে নিয়েছে, সেগুলোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এসব এলাকার মধ্যে গাজা, পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেমও রয়েছে।
আইসিসির এমন সিদ্ধান্তের পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একটি ভিডিও বিবৃতিতে বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ভুয়া যুদ্ধাপরাধ তদন্তে আদালতের এই সিদ্ধান্ত ‘ইহুদিবিদ্বেষের’ নামান্তর। বিবিসির খবরে বলা হয়, আইসিসিকে একটি ‘রাজনৈতিক গোষ্ঠী’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে ইসরায়েল। এই তদন্ত থেকে জনগণ ও সেনাদের রক্ষার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে দেশটি।
এ দিকে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, আইসিসির এই সিদ্ধান্তের ফলে অবশেষে গুরুতর অপরাধের শিকার ভুক্তভোগীদের জন্য প্রকৃত আশার সঞ্চার ঘটল। ইসরায়েল বা ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে বিচার শুরুর এখনই সময়।