নোয়াখালী-নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের (৭০) ওপর আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে বসুরহাটের রূপালী চত্বরে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পাশে এ ঘটনা ঘটে। এতে খিজির হায়াতের সঙ্গে থাকা সাত-আটজন আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান প্রায় অর্ধশত দলীয় নেতা-কর্মীকে নিয়ে বসুরহাট রূপালী চত্বরে যান। তিনি সেখানে ইতিপূর্বে কাদের মির্জা তালা ঝুলিয়ে দেওয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের পাশের আরেকটি কক্ষে গিয়ে বসেন। ২০-২৫ মিনিটের মাথায় পৌরসভা কার্যালয় থেকে আবদুল কাদের মির্জা এবং বড় রাজাপুর এলাকার গ্রামের বাড়ি থেকে তাঁর ভাই শাহদাত হোসেন ও ছেলে মির্জা মাশরুর কাদেরের (তাসিক মির্জা) শতাধিক অনুসারী রূপালী চত্বরে গিয়ে খিজির হায়াতের সঙ্গে থাকা দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালান। এতে সাত-আটজন আহত হন।
খিজির হায়াতের অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য আবদুল কাদের মির্জার ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ধরেননি। তবে কাদের মির্জার অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বলেন, খিজির হায়াত দলীয় কার্যালয়ে বসার চেষ্টা করেছিলেন। তখন কাদের মির্জার কিছু পোলাপান গিয়ে তাঁকে বের করে দিয়েছেন। তখন হালকা ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। কাদের মির্জা খিজির হায়াতকে কিছু করেননি। তিনি বরং পোলাপানদের ডেকে নিয়ে গেছেন।
ওসি বলেন, তাঁরা খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। রাত সাতটা পর্যন্ত খিজির হায়াত-মিজানুর রহমানের অনুসারীরা উপজেলা পরিষদের দিকে আর কাদের মির্জার অনুসারীরা পৌরসভা ভবন এলাকায় অবস্থান করছিলেন। তাঁরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।