সিলেট সংবাদদাতা ।সিলেট নগরীর কেন্দ্রস্থলের চৌহাট্টায় সিটি করপোরেশনের উন্নয়নকাজ চালাতে গিয়ে অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদের সময় সংঘর্ষে জড়ানোয় দুঃখ প্রকাশ করে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছে সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন।
যোগাযোগ করলে সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি হাজি ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা রোববারের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে ঘটনার শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়ে ধর্মঘট ডেকেছিলাম। আমাদের মধ্যে সমঝোতা হওয়ায় ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।’
গত বুধবার নগরীর চৌহাট্টা থেকে আম্বরখানা সড়ক পর্যন্ত ফুটপাত ও সড়ক বিভাজক নির্মাণকাজে অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন সিটি করপোরেশনের নির্মাণকর্মীরা। এ সময় পরিবহনশ্রমিক ও সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের মধ্যে তিন দফা সংঘর্ষ হয়। এতে ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। পুলিশ ১৬টি ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
আজ সকালে সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ দপ্তর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সিলেট ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এতে পরিবহনশ্রমিক-মালিক প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ ওয়ার্ড কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন। রাত প্রায় ১২টা পর্যন্ত চলা বৈঠকের শেষ পর্যায়ে ঘটনা নিষ্পত্তির লক্ষ্যে কাউন্সিলর-সাংবাদিক-ব্যবসায়ী ও পরিবহনশ্রমিক-মালিক প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে ১৬ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়। এ কমিটি সমঝোতা ও সমাধানের লক্ষ্যে আরেক দফা বৈঠক করে। এতে সিটি করপোরেশনের উন্নয়নকাজ নির্বিঘ্ন করা, ফুটপাত দখল করে অবৈধ গাড়ির স্ট্যান্ড উচ্ছেদে একমত হন সবাই। সংঘর্ষের ঘটনায় পরিবহনশ্রমিক সংগঠন দুঃখ প্রকাশ করলে তাদের দাবির বিষয়ে আলোচনা হয়।
মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘পরিবহনশ্রমিকেরা দুঃখ প্রকাশ করায় সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলা আইনানুগ প্রক্রিয়ায় নিষ্পত্তি এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবহনমালিকদের ক্ষতিপূরণে সহায়তা করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।’
মেয়র আরও বলেন, সিটি করপোরেশনের উন্নয়নকাজ কোনো ব্যক্তিবিশেষের নয়, এ কাজের সর্বস্তরের মানুষকে সহায়তার মনোভাব রাখতে হবে। বিশেষ করে ফুটপাত দখলের মতো যেকোনো পন্থার বিরুদ্ধে সবার আগে পরিবহনশ্রমিকদের প্রতিবাদী হতে হবে। কারণ, ফুটপাত দখল হলে সবার আগে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।