বিশেষ প্রতিবেদক: |
টেকনাফ বাহারছড়া স্থানীয় উত্তর শিলখালী মরহুম নুর মোহাম্মদ সিকদারের পুত্র মৃত জাফর আলমের পরিবার বিগত ১৯৩০ সাল থেকে তাদের প্রায় ৫ প্রজন্ম বংশ পরম্পরায় শুধু রেকর্ডীয় মালিকারা ঐতিহ্য সম্বলিত গ্রামীণ কৃষি জমিতে চাষবাস করে জীবন নির্বাহ করে আসছে।সেই কৃষি জমির ক্ষতিসাধন করে ফায়ারিং স্কোয়াডের নামে এই রকম বুক জুড়ানো সোনালী ফসলের জমি ধ্বংস করে ফায়ারিং স্কোয়াডের অনুমোদন না দিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি) জনাব কামাল হোসেন চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের প্রতি বিনিত অনুরোধ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী জমির মালিকেরা। তাদের দাবি প্রয়োজনবোধে ঠিক একই জায়গায় মাত্র ২শ ফিট উত্তরে পাশাপাশি সেনা কল্যাণ ট্রাস্টের প্রায় ৩০ কানি জমি আছে তাতে চাষবাসও হয় না। প্রয়োজন হলে তাদের ক্রয়কৃত নিজস্ব জমিতে করার ব্যবস্থা করতে জেলা প্রশাসকের প্রতি জোর দাবি জানায়।তিনি বিষয়টা বিবেচনা করবে বলে আশাবাদি। এই জমিতে কৃষি চাষ করে তারা জীবীকা নির্বাহ করে আসছে শত শত বছর ধরে।এই জমি জোর করে দখল করার চেষ্টা করলে কৃষক পরিবারের অপূরনীয় ক্ষতি হয়ে যাবে যা কোনদিন পূরণ করার মত নয়।ভবিষ্যতে মাথা গুঁজানোর মত একটা বাড়িঘর করার জন্য একটুকরো জায়গাও পাবে না বলে চিন্তিত।তারা এতদিন সমাজে সম্মানের সঙ্গে বাস করে আসছে।জমি হারিয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়লে মানবতর জীবন যাপন করতে হবে ভুক্তভোগীদের। বিকল্প জায়গাতে ফায়ারিং স্কোয়াড করার জন্য সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব বর্গের একান্ত সহযোগিতা কামনা করছেন।এই জমিতে বর্ষা মৌসুমে আমান ধানের সোনালী ফসল, মাছের ঘের,শীতকালে ক্ষেতের মৌসুমে মরিচ, মটরশুঁটি, তরমুজ, বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি,ফলমূল চাষ হয়। শুধু তা নয় এই জমিতে বসতবাড়ি,খামারসহ এলাকার বহু মৎসজীবী এই জমি মাড়িয়ে সাগরে মাছ ধরতে যায়।তাছাড়া সংলগ্ন পূর্ব দিকে ঘনবসতিপূর্ণ শত শত কাঁচা পাকা বাড়িঘর রয়েছে।এই জমির উপ জনজীবন একেবারে একাকার।তাই যদি ফায়ারিং স্কোয়াডের প্রয়োজন হয় তাহলে এই সব বিষয় বিবেচনা করে বিকল্প জায়গাতে করার জন্য এলাকাবাসী জোর দাবি জানাচ্ছে। ভুক্তভোগী আলী আকবর ও বশির আহমেদ জানান,দেশের নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের প্রতি তাদের কর্তব্য আছে।তারা বলে “আমরা চায় দেশের প্রয়োজনে ফায়ারিং স্কোয়াড হোক।কিন্তু কৃষি জমিতে নয়, কোথাও জায়গা সংকুল হলে আমরা অবশ্যই ছেড়ে দিতাম কিন্তু মেরিনড্রাইভের পাশ্চিমে শত শত বিগা খিল জমি পড়ে আছে তাতেও করা যায়।এমন কি আমাদের জমির সংলগ্ন ঠিক ২শ ফিট উত্তরে সেনা কল্যাণ ট্রাস্টের বিপুল পরিমাণ জায়গা রয়েছে সেই জায়গায় করতে জোর দাবি জানাচ্ছি। জাফর আলম গং এর মৌজা শিলখালী,বিএস দাগ ৩০৫৯,৩০৭০,৩০৭২।বিএস ৬৪৯ নং থেকে সৃজিত খতিয়ান-১৮৪০,১৬৬৬,১৭১০,এবং বিএস ৬৪২ নং থেকে সৃজিত খতিয়ান ১৯০১, বিএস ৯৫৯ ও সৃজিত ১৩৯৬।জমির পরিমাণ-১৩.৮৪ বিগাসহ আরো অনেক মালিকের বেশ কিছু জায়গায় রয়েছে। |