সিলেট-পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ঘোষিত জাফলংয়ের ডাউকি নদের একাংশে বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছিল। রাতের বেলা কাজটি করার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক টাস্কফোর্সের অভিযান চালিয়ে খননযন্ত্র দিয়ে সেই বাঁধ রাতেই অপসারণ করে। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত বাঁধ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিলুর রহমানের নেতৃত্বে গতকাল সোমবার রাত ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এ অভিযান হয়।
মেসার্স জালালাবাদ লাইম ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড ট্রেডিং অ্যাসোসিয়েশনের দুই ব্যবসায়ী তখন অভিযানে থাকা লোকজনের সঙ্গে খারাপ আচরণ এবং সরকারি কাজে বাধার সৃষ্টি করেন। এ অবস্থায় ১৮৯ ধারায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আফছার উদ্দিনকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।তাহমিলুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), গোয়াইনঘাট, সিলেট

আমরা নদে কোনো রকম বাঁধ বা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করিনি। উচ্চ আদালত নির্দেশিত আমাদের অধিগ্রহণ করা ভূমি থেকে নদের পানি সরাতে পাইপ স্থাপন করেছিলাম। এ কাজ ইসিএভুক্ত এলাকার বাইরে হচ্ছিল। আমাদেরকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ না দিয়ে রাতের বেলা পরিচালিত এই অভিযান প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।মো. আফছার উদ্দিন, জালালাবাদ লাইম ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড ট্রেডিং অ্যাসোসিয়েশন
সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও জরিমানা সম্পর্কে জানতে চাইলে জালালাবাদ লাইম ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড ট্রেডিং অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আফছার উদ্দিন দাবি করেন, তাঁরা নদে কোনো রকম বাঁধ বা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেননি। উচ্চ আদালত নির্দেশিত তাঁদের অধিগ্রহণ করা ভূমি থেকে নদের পানি সরাতে পাইপ স্থাপন করছিলেন। এ কাজ ইসিএভুক্ত এলাকার বাইরে হচ্ছিল। তাঁদেরকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ না দিয়ে রাতের বেলা পরিচালিত এই অভিযান প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এ ব্যাপারে তাঁরা উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হবেন।