চা শিল্পে নিম্নতম মজুরী সংক্রান্ত গত ১৩ জুন প্রকাশিত খসড়া গেজেটের তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দরা।
খসড়া গেজেট প্রকাশের পর এ ব্যপারে চা শিল্পে নিয়োজিত কর্মচারীদের সংগঠন বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ এসোসিয়েশন কর্তৃক আপত্তি ও সুপারিশমালা তুলে নিম্নতম মজুরী বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন জানিয়েছেন। অন্যতায় এ খসড়া গেজেট আপত্তি সংশোধনি ছাড়া পাশ করা হলে এ বিষয়কে কেন্দ্র করে চা শিল্পে কোনরূপ অসন্তুষ্টি সৃষ্টি হলে এর দায়ভার নিম্নতম মজুরী বোর্ডকে বহন করতে হবে।
রোজ শুক্রবার (২৫ জুন) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন হুশিয়ারীর কথা জানান, বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ এসোসিয়েশনের সভাপতি মো: মাহবুব রেজা।
শ্রীমঙ্গলস্থ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি জানান, ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ঐতিহ্যবাহি সংগঠন, যার রেজিষ্ট্রেশন নং বি-২৫১। ৬৭ বৎসরের এই ইউনিয়ন বাংলাদেশীয় চা সংসদের সাথে ২ বৎসর পরপর দরকষাকষি করে কর্মচারীদের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করে আসতেছে, যাহা অদ্যবধি বলবৎ আছে। কিন্তু তাদের সাথে কোন আলাপ আলোচনা ছাড়াই তারা দেখতে পারছেন প্রকাশিত খসড়া গেজেটের ৭নং ক্রমিকে চুক্তিনামার মেয়াদ ২ বৎসরের পরিবর্তে ৩ বৎসর করা হয়েছে। যা সাধারণ কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। এব্যাপারে সংগঠনের পক্ষ থেকে জরুরী সভা ডেকে পূর্বেকার ন্যায় মালিক পক্ষের সহিত চুক্তিনামার মেয়াদ ২ বৎসর বহাল রাখার আহ্বান জানান।
এছাড়াও একই সভায় বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাথে বাংলাদেশীয় চা সংসদের যে ২০১৯-২০২০ সালেরযে ২৮.৪৩ ভাগ মজুরী বৃদ্ধি করা হয়েছে তা কর্মচারীদেরও বহাল রাখার আহবান জানান। কিন্তু মজুরী বোর্ড তা আমলে না নিয়ে চা সংসদের সম্পাদিত ২০১৮-১৯ সালের চুক্তিনামার হুবহু বেতন কাঠামো উল্লেখ করে ১৩ জুন গেজেটে প্রকাশ করে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান, সহসাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় কান্তি ভট্টাচার্য্য, কোষাধ্যক্ষ মো. আমিনুর রহমান, আঞ্চলিক সভাপতি (বালিশিরা দক্ষিণ) সুরঞ্জিত দাশ, বদরুল হোসেন, আঞ্চলিক সম্পাদক (বালিশিরা উত্তর লংলা) মো. কামাল হোসেন, আঞ্চলিক সম্পাদক (ধলই) ইমন দেবনাথ, আঞ্চলিক সম্পাদক (লংলা অঞ্চল) প্রদীপ যাদবসহ বিভিন্ন ভ্যালী ও অঞ্চলের সভাপতি ও সম্পাদকরা।
সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ জানান, কোন অসৎ উদ্দেশ্যে বা কালো হাতের ইশারায় এটা হচ্ছে, তারা জানেন না। চা শিল্পকে দু’টি সংগঠনে শ্রমিক ও কর্মচারী এবং পরিবারের সদস্যরা মিলে প্রায় দশ লক্ষ মানুষ এ সেক্টর থেকে জীবিকা নির্বাহ করে। মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে এ সেক্টরের সবাই বর্তমান সরকারে নিবেদতপ্রাণ। শ্রম বান্ধব এ সরকার এবং সরকার প্রধান দেশরত্ন শেখ হাসিনার নজরে গেলে তাদের শতভাগ বিশ্বাস তারা ন্যায় বিচার পাবেন।
This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.
Strictly Necessary Cookies
Strictly Necessary Cookie should be enabled at all times so that we can save your preferences for cookie settings.
If you disable this cookie, we will not be able to save your preferences. This means that every time you visit this website you will need to enable or disable cookies again.