চীনে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণের উৎস শনাক্তে তদন্ত করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই প্রতিনিধিদল। বিবিসিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, বেইজিং প্রথমে ১৭ সদস্যের প্রতিনিধিদলকে উহানে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। কয়েক মাস ধরে সমঝোতা-প্রচেষ্টার পর উহানে সংস্থাটির প্রতিনিধিদের তদন্তকাজে ঢুকতে দিতে রাজি হয় বেইজিং।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে উহান সেন্ট্রাল হাসপাতালের চিকিৎসক লি ওয়েনলিয়াং সহকর্মী চিকিৎসকদের এক নতুন রোগের সম্ভাব্য সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে সতর্ক করার চেষ্টা করেন। তবে পুলিশ ‘অসত্য মন্তব্য’ করা থামাতে বলে এবং ‘গুজব ছড়ানো’ নিয়ে তদন্ত শুরু করে। পরে একই শহরের হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার সময় এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ফেব্রুয়ারিতে মারা যান তিনি। এরপর এপ্রিলে নানা সন্দেহ ও অভিযোগ ওঠে—ভাইরাসটি উহান শহরের একটি গবেষণাগার থেকে ছড়িয়ে থাকতে পারে।
করোনা উহান শহরে ডিসেম্বরেই ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছিল—এটা আমাদের অনুসন্ধানে পাওয়া নতুন তথ্য। ওই মাসে শহরটিতে হাজারের বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন।পিটার বেন এমব্যারেক, ডব্লিউএইচও মিশনের প্রধান তদন্তকারী
উহান সফরে তদন্তকারীরা এখন পর্যন্ত যেসব তথ্য উদ্ঘাটন করতে পেরেছেন, তা করোনার উৎস শনাক্তে গবেষণা চালিয়ে যাওয়া অন্য বিজ্ঞানীদের ভাবনায় নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। এই বিজ্ঞানীরা বলেছেন, করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার ব্যাপারে মধ্য ডিসেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে জানা গেলেও প্রকৃতপক্ষে এ ভাইরাসের সংক্রমণ অনেক আগেই চীনে ছড়িয়ে থাকতে পারে।
উহান সফরে তদন্তকারীরা এখন পর্যন্ত যেসব তথ্য উদ্ঘাটন করতে পেরেছেন, তা করোনার উৎস শনাক্তে গবেষণা চালিয়ে যাওয়া অন্য বিজ্ঞানীদের ভাবনায় নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। এই বিজ্ঞানীরা বলেছেন, করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার ব্যাপারে মধ্য ডিসেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে জানা গেলেও প্রকৃতপক্ষে এ ভাইরাসের সংক্রমণ অনেক আগেই চীনে ছড়িয়ে থাকতে পারে।